top of page

ভালোবাসার গল্পঃ পর্ব ১

Writer: অতিমানবঅতিমানব

Updated: May 11, 2020

“শোন সন্দীপন, তোমায় হাজার বার লক্ষবার বলা হয়েছে যদি নিজে না বুঝতে পারো অন্তত বাকিরা কি করছে সেটা দেখ।

এবার আর আমার হাতে কিছু নেই…” এবং ইত্যাদি ইত্যাদি।

সন্দীপন খুব মন দিয়ে দেয়ালে টাঙানো স্টিভ জবসের ছবিটা দেখছিল। নিচে লেখা সেই বিখ্যাত উক্তি।

“What do we know? What have we learned?”

ছবিটা দেখতে দেখতে সোলার স্যারের ভাবলেশহীন মরা মাছের মত মুখটা ভেসে উঠল চোখের সামনে। সোলার চৌধুরী। অফিসে আড়ালে সবাই বলে ‘সূর্যগ্রহণ’ চৌধুরী। লোকটার ইগো আর পিঠ বাঁচানোর হাড়িকাঠে অনেকের ভবিষ্যৎ বলি হয়েছে। এবার গ্রহণ লেগেছে সন্দীপনের জীবনে।

“ আপনার হাতে নিজেরটা ছাড়া কবেই বা আর কি ছিল…”

“কি বলছ?”

হঠাৎ খেয়াল হল ফোনটা মিউট করা নেই। মানে সোলার কথাগুলো শুনেছে!

“ধুর!” । একটা তেতো ঢোক গেলে সন্দীপন। আবার শুরু হবে ঝুড়ি ঝুড়ি তিরস্কার আর জ্ঞ্যানের বর্ষণ। উফ এসময় যদি একটা ইন্টার্ভিউয়েরও উত্তর আসত।

হঠাৎ টিং করে একটা মেইল এসে ঢোকে সন্দীপনের মেইল বক্সে। প্রথম লাইনটা দেখে গম্ভীর হয়ে পড়তে থাকে সে।

“ Dear Mr. Sandipan Chakraborty,

It is our pleasure to…”

মেইলটা এসেছে অন্য একটা কোম্পানি থেকে। সেখানে কয়েকদিন আগেই একটা চাকরির দরখাস্ত দিতে গেছিল সে। ইন্টার্ভিউ বেশ ভালো হয়েছিল। যে ভদ্রলোককে কেউকেটা ম্যানেজার মনে হয়েছিলো তার কাছ থেকে দেশলাই চাওয়ার বাহানায় বেশ আলাপ জমিয়েও এসেছিল সন্দীপন। ভদ্রলোককে বেশ খুশী এবং আশাবাদী মানুষ মনে হয়েছিল তার। উনি বলছিলেন “আমরা মোটামুটি যাদের নাম লিস্টে রাখছি তারা আসছে শুক্রবারের আগেই মেইল পেয়ে যাবে।” বেশী কথা এসব লোকে বলে না। আজ বৃহস্পতিবার।

মেইলটা সবটা পড়ল না সন্দীপন। গম্ভীর গলায় সোলারকে বলল , “বলছি আপনার হাতে তো নিজেরটা ছাড়া কোনদিন কিছু ছিল না। তাই আপনার সাথে নিজের সুবিধে অসুবিধে নিয়ে আলোচনা করা বৃথা। আমি আর একটা চাকরির খোঁজে আছি। যেদিন পাবো দয়া করে না ঝুলিয়ে ছেড়ে দেবেন। আর শুনুন, দিল্লি অফিসে আমি আট মাস কাজ করেছি। ওনাদের এরকম নালিশ কোনদিন শুনি নি। যাই হোক, আমি আবার করে পাঠাচ্ছি। রাখছি স্যার।”

উত্তরের অপেক্ষা না করেই ফোনটা কেটে দেয় সন্দীপন।

যাক, এবার তাহলে সবজান্তা দুলিরামের মুখে ঝামা!

মেইলটা সবটা খুলে মন দিয়ে বিড়বিড় করে পড়তে থাকে সে।

“ Dear Mr. Sandipan Chakraborty,

It is our pleasure to let you know that your profile has been registered in our company portal. Your application has been rejected for the current profile applied for. However, you will continue receiving job alerts related to your profile and updated skill set.”

“শুয়োরের বাচ্চা!!!”

“দীপ আস্তে!” বলে মা ডাক দিলেন পাশের ঘর থেকে; “ওইদিকের বাড়ি থেকে কিন্তু শোনা যায়!!”

“তাতে আমার…” নেহাত ধেড়ে চেহারা আর একগাল দাড়ি নিয়ে হাউমাউ করে কাঁদা যায়না বলে কোনমতে চুপ করে রইল সন্দীপন। ইশশশ! এভাবে কেউ টুপি পরায় লোককে? বেশ বলে দিতে পারত, “ না বাছা! আমাদের পয়সা ইচ্ছে কোনটাই নেই তোমায় চাকরি দেয়ার মত। তুমি এসো।” একটা গোটা শনিবার বেঁচে যেত তাহলে। কলকাতার চাকরি খোঁজা মানেই কপালে শনি। মুখটা বালিশে গুঁজে ল্যাপটপটা বন্ধ করে দিল সন্দীপন। মোবাইল অফ।

না, আজ আর কোন কাজ সে করবে না। আজকের মত সংবাদ এখানেই শেষ।

বিকেলের দিকে একবার মেইলটা আবার খুলল সে। পড়ল, মন দিয়ে বারবার। কোথাও যদি একটু আশার কথা লেখা থাকে।

নাঃ।

মেইলটা মে মাসের দুপুরের মতই খটখটে। পড়েই বোঝা যায় কেউ নিজে হাতে লেখেওনি সেটা। স্রেফ ctrl+c আর ctrl+v , এই পর্যন্ত।

বাকি মেইলগুলো দেখতে দেখতে নিচের দিকে আর একটা মেইল দেখল সে।

অপালাদি পাঠিয়েছে। লিটিল ম্যাগাজিন ফেয়ারের গল্প জমা দেয়ার ডেট প্রায় সামনে। এতদিনে বোধহয় এবারের পর্বের বিষয় ঠিক হয়েছে।

‘ভালোবাসার পরত’।

নেকু চৈতন্য আমার! এদিকে খাওয়া-পড়া-EMI এর টানাটানি, ওদিকে মদনের উপাসনা থেকে মানুষের অব্যাহতি নেই।

সন্দীপন চোখ বুজে ভাবতে লাগল।

প্রথমঃ

সৃজার ফোন আসছে না গত দেড় মাস যাবৎ। মাঝে মাঝে চেষ্টা করে দেখেনি অবিনাশ তা নয়। কিন্তু কেবলই সৃজার মা ফোন ধরেন। সেই একই কথা।

“ বাবা সৃজা তো বাড়ি নেই। কিছু বলতে হবে?”

মেসেজের কোন উত্তর নেই। নেই দেখা সাক্ষাতও। কি যে হল মেয়েটার!

চাকরি নিয়ে বেশ কদিন টানা হেঁচড়া চলছে অবিনাশের। নিজের নামের মানেটা জানে বলেই তার চেষ্টার খামতি নেই।

কলেজে এক বছরের জুনিয়র ছিল সৃজা। অবিনাশ তখন কলেজের দাদা। নতুন ছেলে মেয়েরা তার নাম শুনেই পালাত, আসা অবধি দাঁড়াত না। কলেজের চায়ের দোকানের সম্রাট অবিনাশ চাকলাদার। আর তার রাজ্যপাটে কারোর বুকের পাটা হয়নি ভাগ বসাতে।

এই তো গেলবার ফুটবল টুর্নামেন্টের সময় হোস্টেলের ছেলেদের সাথে প্রায় খুনোখুনি হবার জোগাড় হয়েছিল তার। কি এসে গেছে ভারি তাতে? অবিনাশ চাকলাদারের হাতে সিগারেট আর সাইকেলের চেন থাকলে কারো কথা শোনে না সে এটা দারোয়ান থেকে ভিসি সবাই জানে।

সেরকম একদিনে যখন তার সভা আলো করে চলছে, একটা নতুন মেয়ে এসে ঢুকল বগলাদার দোকানে।

“কাকু একটা চা আর কেক।“

ফার্স্ট আর সেকেন্ড ইয়ারের জন্য অলিখিত নিয়ম কলেজে বরাবর চালু। চা কেক টিফিন সিগারেট যা খাও তিন নম্বর গেটে লালুর দোকান থেকে। অবিনাশরাও তাই মেনেছে। আর যতদিন অবিনাশরা থাকবে সেটাই মানা হবে।

বগলাদা অসহায় ভাবে তাকায় অবিনাশের দিকে। কেকের বয়ামের ওপর রোজের মত ডানহাত রেখে বসে আছে সে। মেয়েটাও তাকায় অবিনাশের দিকে।

“দাদা একটা কেক…”

পিঠ করে বসেছিল অবিনাশ ওদিকে। বিস্ময়ে “কি?” বলতেও ভুলে গেল সে। বলে কি মেয়েটা! কেক!! এখানে? বাঘের থাবা থেকে মাংসের আবদার?

সটান উঠে দাঁড়িয়েছিল সে। মেয়েটা এগিয়ে এসেছিল সোজা।

“একটা কেক…”

“নাম কি তোর? কোন ইয়ার?”

“সৃজা মৈত্র। আই.টি সেকেন্ড ইয়ার।”

অবিনাশ হাঁ করে তাকিয়েছিল। তারপর বগলাদাকে বলেছিল, “ কাকু, একটা চা আর একটা কেক। দিয়ে দাও।”

পাথরকেও গান শিখিয়েছিল নাকি সৃজা? শয়তানের মুখে ভগবানের গান?

মনে মনে ভাবতে ভাবতে সামনের ছাদের চড়াইদুটোকে দেখছিল। ভাবছিল বারাসাতের সেই সন্ধ্যেটার কথা।

সৃজাকে নোট দেয়ার নাম করে তুলে নিয়ে গেছিল অলোক। বাইকে। কলেজের পর। যতক্ষণে অবিনাশ পৌঁছেছে ততক্ষণে সৃজা কোনরকমে জামাটা সামলে রেখেছিল অলোকের হাত থেকে। অলোক এখন খুঁড়িয়ে হাটে। ওর বন্ধু সুব্রত দেড় মাস কলেজ আসে নি হাত ভেঙে। আর অবিনাশ? অবিনাশের গালে একটা লম্বা কাটার দাগ। ফাটা টিউবলাইটের। আর জামার ওপর সৃজার ধ্যাবড়া কাজল।

সেই সৃজা ফোন ধরছে না?

অবিনাশের মনে টুকরো টুকরো স্মৃতি। কলেজের পরে চাকরি পাচ্ছিল না সে। সৃজার তখনও এক বছর বাকি শেষ হতে। হাত ধরে বলেছিল, “ চেষ্টা কর না তুমি। আমি তো রইলামই। আর বাড়িতেও তো জানে দুজনেরই। দেখবে ঠিক কিছু না কিছুর ব্যাবস্থা হয়ে যাবে।”

খারাপ কলেজের বখাটে অবিনাশ সেই ‘কিছু না কিছু’-র পরীক্ষায় উতরেছে কদিন আগে। আজ তার পকেটে কড়করে চাকরির চিঠি। মাইনে উনিশ হাজার টাকা। কম, কিন্তু তাই বা কম কি। ফার্মটাও খারাপ না। কথাবার্তা এগোনো চলে। কিন্তু কপাল দেখ কেমন। সেই খবরটুকুও জানানো হল না।

বিকেলের দিকে আর একবার ফোন করল অবিনাশ। আজ সৃজার ফাইনাল সেমের রেজাল্ট বেরনোর কথা। বেরনোর কথা চাকরির ড্রাইভের রেজাল্টও।

আগে পল্লবকে ফোন করে অবিনাশ।

“হ্যাঁ দাদা বল।”

“কিরে তোদের রেজাল্ট বেরল?”

“ওমা সেই কখন। আমি ৭ পয়েন্ট পেয়ে গেছি কাকা!”

“সৃজা?”

“আরে ও তো ফাটিয়ে দিয়েছে! ৯!!”

“চাকরিরটা?”

“আরে সৃজার কি আটকাত নাকি! হয়ে গেছে।”

“আচ্ছা আচ্ছা। পার্টি হচ্ছে নাকি তোদের? সৃজা ফোন করল না।”

“সৃজা তো একটু আগে বাড়ি গেল। বলছি যে একটা কথা বলার ছিল, তোমায় বলা হয় নি।”

“তাড়াতাড়ি বল। সৃজাকে ফোন করব।”

“ও। না না থাক তাহলে। বলছি ওর না নাম্বার চেঞ্জ হয়েছে। ৯৪৫৭৮…”

কোনরকমে নাম্বারটা নোট করে ছেড়ে দেয় অবিনাশ। আবার ফোন করে।

“বলো।” ওপাশ থেকে যেন জো স্যাট্রিয়ানির গিটার বেজে ওঠে।

“আরে কংগ্রাচুলেশনস!! তোর এত ভালো ভালো খবর আমায় বললি না? কত্তদিন ধরে ফোন করছি খালি মা ধরে। কি রে! ওই! টায়ার্ড নাকি পার্টি করে?”

“বাবা তোমার সাথে একটু কথা বলবে। ধর।”

অবিনাশ হঠাৎ হোঁচট খায়। ফোনটা ততক্ষণে কাকুর হাটে চলে গেছে।

“কে অবিনাশ?”

“হ্যাঁ বা…ইয়ে কাকু…”

“শোন তোমার সাথে কয়েকটা দরকারি কথা আছে। মন দিয়ে শুনবে। আজ তো সৃজার ফাইনাল রেজাল্টটা বেরিয়ে গেল। চাকরিটাও হয়ে গেল। আমরা এবার ওর বিয়ের কথা ভাবছি।”

“হ্যাঁ কাকু মানে আমিও চাকরি পেয়ে গেছি। জয়েনিং দিয়েছে সামনের মাসের…”

“তুমি তো বোধহয় ওর থেকে এক বছরের সিনিয়ার তাই না? কলেজ ড্রাইভে কি পাও নি”

“আরে না কাকু কলেজের ব্যাপার তো জানেনই। আমাদের তো বসতেই দেয় নি। তাই অফ ক্যাম্পাসে ট্রাই করছিলাম।”

“তোমার ব্যাচের বাকিরা তো বোধহয় জয়েন করে গেছে তাই না?”

“হ্যাঁ কাকু।” গলাটা হঠাৎ কাঠ হয়ে উঠছে কেন অবিনাশের? এরকম কথা বলতে বুঝি গলা শুকিয়ে যায়? সামান্য গায়ে কাঁটাও দেয় ওর।

“ দেখ অবিনাশ, আমি তো পুলিশের লোক। আমরা বেশী ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে কথা বলি না। সোজাসুজি বলছি। তোমার যা প্যাকেজ দিয়েছে সেটা তো তেমন কিছু নয়। অবশ্য ছেলেদের একটু বেশী বয়স হয় বই কি একটা বলার মত চাকরি পেতে। কিছু যেন মনে কর না। আমি তোমার বাবার বয়সীই হব।

ও বাবা বলতে মনে পড়ল, তোমার বাবা-মায়ের ডিভোর্সের ব্যাপারটাও সৃজা মা আমায় বলেছে। বাবা তো প্রচণ্ড মারধোর করতেন তোমার মাকে। তা হয়, তা হয়।

আমরা তো এসব রোজই দেখি।

তবে কি জানো তো, তোমার মেজাজটাও তো কলেজে বিখ্যাতই বলা যায় একরকম। সে আমরাও কিছু এমন লক্ষ্মী ছেলে ছিলুম না অ্যাকাডেমিতে। তবে সব জেনে বুঝে নিজের মেয়েকে…মানে তুমি বুঝতে পারলে তো? তাছাড়া তোমার এখনও হাতে পয়সাকড়ি আসতে বছর পাঁচ-ছয় কম করে। তার ওপর বেসরকারি চাকরি। কবে আছে, কবে আবার বাজার ঘুরে যাবে …”

মনে হয় কারেন্ট গেছে। অবিনাশের হঠাৎ খুব গরম লাগতে শুরু করল। মাথাটা দপদপ করছে। ছোট থেকেই অবিনাশ মাথা দপদপ করলে বুঝত ভয় পেয়েছে। বাবা যখন রোজ রাতে ঘর বন্ধ করত, তখন অবিনাশের এরকম হত। সারা রাত মা চিৎকার করত একটা অসহায় ভিখারির মত।

“ছেড়ে দাও! লাগছে!”

“…আমরা সৃজার বিয়ে ঠিক করে ফেলেছি। তোমাদেরই সিনিয়ার সুমিত বসু…”

সুমিত দা কলেজের স্টার ছিল তার সময়। অবিনাশরা দেখে নি। কলেজের মেরিট বোর্ডে নাম দেখেছে কেবল।

“Sumit Bose – University Topper 2010

Recruited in Google”

“…আশা করি আমার মেয়েকে আর বিরক্ত করবে না তুমি। সামনে সারাটা জীবন পড়ে আছে। নিজের ভবিষ্যৎ তৈরি কর্…”

অবিনাশ শুনতে পেল তার বাবা ফোনে বলছেন, “ ল্যাংটো করে রাস্তায় বের করে দিলে একটা জাঙ্গিয়াও কিনতে পারবি না নিজেকে বেচে। যা নিজের মা-কে নিয়ে বেরিয়ে যা।“

মাকে আর চিৎকার করতে শোনে নি অবিনাশ কোনদিন এখানে আসার পরে। শুধু রোজ রাতে ঘরে আলো জ্বলত। কত শাড়ি মায়ের ঘরে। হেম সেলাই, পার সেলাই। এবার একটা ভালো চশমা পরবে মা।


সন্ধ্যের পরে একটা লাল দরজার সামনে দাঁড়াল অবিনাশ। আস্তে আস্তে টোকা দিল।

“ বিলাসদা! ও বিলাসদা!”

“কি রে? তুই? এখানে? এখন? আরে তোর মা দেখতে পেলে পুলিশ ডাকবে রে হারামি। যা যা!”

অবিনাশ কোনমতে দরজাটা ধরে দাঁড়ায়। মন ভোলানো করে হেসে বলে, “ সোনালি আছে গো?”

“হ্যাঁ আজ ফাঁকা আছে। কেন?”

“কাক্কা আমি আজ ছাকরি পেয়েছিই কাক্কা!”

চিৎকার করে ওঠে বিলাস দা , “আরে কাক্কা কাক্কা জিও কাক্কা! যা যা ভেতরে যা…”

অবিনাশ পকেটে হাত দেয় হঠাৎ। বিলাসদা হাতটা ধরে ফেলে।

“কি করছ কাকা? তুমি না আজ আমার রাজা বেটা? টাকা চেয়েছি তোর কাছে? আয় আয় বাইরে দাঁড়াস না। তোর মা দেখতে পেলে তোকে আমাকে দুজনকেই জুতোবে। এই সোনা, আয় বেবি আয়। দেখ কে এসেছে। ওর নাম অবি। ও হচ্ছে আমাদের লেক টাউনের কিং, কি তাই তো? যা নিয়ে যা।”

অনেক রাতে সোনালি ঘর থেকে বেরয় সিগারেট খেতে। বিলাস ধরে তাকে। জানতে চায় অবিনাশের কথা।

“ধ্যার! এসে থেকে তো হাউ হাউ করে কাঁদল। নো টাচিং। আর এই সৃজাটা কে? নতুন এসেছে নাকি কেউ?”

বিলাস হাসে। ড্রয়ার থেকে একটা পুরনো সার্টিফিকেট বের করে।

অনেক বছর আগে হলুদ হয়ে যাওয়া একটা গ্রাজুয়েশনের সার্টিফিকেট।


( চলবে )


© All rights reserved by Copyright Act 2020, Department of Art and Culture, Government of India

Copyright Office, New Delhi 110025


Commenti


Subscribe Form

  • facebook
  • twitter
  • linkedin

©2020 by | Seek to See Beyond |. Proudly created with Wix.com

bottom of page